নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঘটেছে এক ঘৃণ্য ঘটনা। এক সৎ বাবার লালসার শিকার হয়েছেন এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী। সৎ বাবার এমনকাণ্ডে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। এই ঘটনা জানার পর থেকে সৎ বাবা বাদল লাপাত্তা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের তিলচন্ডী এলাকায়।

আড়াইহাজার থানা পুলিশ ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাকপ্রতিবন্ধী। তার মা আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই কন্যাকে নিয়ে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সিংহদী গ্রামের ছোবানের ছেলে বাদলকে (৫০) বিয়ে করেন। ছয় থেকে সাত মাস আগে মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে সৎ বাবা বাদল বাকপ্রতিবন্ধী (১৮) তরুণী কন্যাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয় দেখায় বাদল। তার পর থেকে বিভিন্ন দিন ওই তরুণী কন্যাকে ধর্ষণ করে সৎ পিতা।

গত ১৪ মার্চ রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তরুণী তার ছোট বোনের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে সৎ বাবা ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ওই সময় তারা দুই বোন জেগে গেলে ডাক চিৎকার শুরু করে। এতে বাড়ির লোকজন জড়ো হন। পরে ঘটনাটি পারিবারিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা চালায় সৎ পিতা বাদল। তরুণীর মা ও মামা তরুণীকে হাসপাতালে এনে পরীক্ষা করলে চার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর সৎ পিতা বাদল পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় তরুণীর মামা বাদী হয়ে ২০ মার্চ শনিবার সৎ পিতা বাদলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সৎ পিতা বাদলকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।